নিনমাস এ স্বাগতম
নিউক্লিয়ার টেকনোলজী ব্যবহার করে মানুষকে বিশেষায়িত চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ১৯৮০ সালে ইনস্টিটিউট অব্ পোষ্ট গ্র্যাজুয়েট এন্ড রিসার্চ (আইপিজিএমআর) এর “ব্লক এ” তে ‘ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন ’ প্রথম স্থাপিত হয়। পরবর্তীতে “পরমাণু চিকিৎসা ইনস্টিটিউট ঢাকার জন্য ভবন নির্মাণ ও আধুনিকীকরণ ” শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে এটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ডি’-ব্লক এর ১৮ তলা ভবনের ৮ম তলা হতে ১১তম তলা পর্যন্ত প্রায় ৬০,০০০ বর্গফুট আয়তন জুড়ে স্থানান্তরিত হয়, সম্প্রতি এটির নতুন নামকরণ করা হয় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব্ নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস। ২০১৫-২০১৭ সালে এটি “আপগ্রেডিং এন্ড স্ট্রেন্দেনিং দি ফ্যাসিলিটিস অ্যাট ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস” শীর্ষক এডিপি প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় মুদ্রায় ক্রয়কৃত ১০৮টি ও বৈদেশীক মুদ্রায় ক্রয়কৃত ১৩টি অত্যাধুনিক ও উন্নত যন্ত্র স্থাপন সহ আধুনিক ডিজিটালাইজড টোকেন সিস্টেম এবং ভবনের কক্ষ সমূহ সংস্কারের মাধ্যমে নিন্মাস আধুনিক রূপ লাভ করেছে। সর্বাধুনিক পেট-সিটি, সিঙ্গেল ও ডাবল স্পেক্ট গামা ক্যামেরা সংযোজিত ইনস্টিটিউটটি বর্তমানে অন্কোলজি, কার্ডিওলজি, নেফ্রোলজি, এবং সেরিব্রাল স্ক্যানিং এর মত আধুনিক পরীক্ষা করতে সক্ষম।“পেট-সিটি এন্ড সাইক্লোট্রন” স্থাপন প্রকল্পের মাধ্যমে বর্তমানে একটি পেট-সিটি স্থাপিত হয়েছে যার মাধ্যমে প্রচুর রোগী বিশেষত ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।
আমাদের লক্ষ্য/উদ্দেশ্যঃ
আগামী ১০ হতে ১৫ বছরের মধ্যে নিউক্লিয়ার মেডিসিন থেরাপী, টারগেটেড রেডিওনিউক্লাইড থেরাপী, রেডিওফার্মেসী, পেট- রেডিওফার্মাসিউটিক্যালস, নিউক্লিয়ার অন্কোলজি, পেডিয়াট্রিক নিউক্লিয়ার মেডিসিন, নিউক্লিয়ার নেফ্রোলজি এবং নিউক্লিয়ার কার্ডিওলজি থেকে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হবে। পরমাণু চিকিৎসার ক্ষেত্রে এ সকল ভবিষ্যত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য আমাদের লক্ষ্যগুলো হলো :
১। রোগীদের উন্নততর ও আধুনিক সেবা প্রদান
২। রোগ নির্ণয় এবং থেরাপীর ক্ষেত্রে সামর্থ্য বাড়ানো
৩। শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম বাড়ানো
৪। মানব সম্পদ উন্নয়ন